স্বরূপকাঠিতে প্রতারকের খপ্পরে পরে দুই বিকাশ এজেন্ট ব্যবসায়ীর খোয়া গেল ৬১হাজার টাকা। অভিনব কৌশল অবলম্বন করে বিকাশ এজেন্টের দোকান থেকে ওই টাকা হাতিয়ে নিয়েছে প্রতারক ।
এ বিষয় বিকাশ এজেন্ট ব্যবসায়ী জানায়,গত বৃহস্পতিবার সকালের দিকে আমার দোকানে দুইজন লোক আসে এবং ৫০ হাজার টাকা আনার জন্য এজেন্ট নাম্বার চায়। তখন তার সাথে একজন অটো ড্রাইভার ছিলো, তাকে ত্রানের মাল আনার কথা বলে ভাড়ায় ঠিক করছে। স্থানীয় আর এক লোককে কথিত মামা সাজিয়ে নিয়ে আমার দোকানের সামনে আসে এবং ত্রান দেয়ার বিষয় নিয়ে আলোচনা কর। প্রতারকটি এজেন্ট নাম্বার নিয়ে তারাতাড়ি টাকা পাঠানার জন্য মোবাইলে কথা বলতেছিল। প্রতারকটি পকেটে থাকা টাকা বের করে ড্রাইভার কে গননা করে বলে।ড্রাইভার জানায় ওখানে ১৬ হাজার টাকা। প্রতারক বললো ভাই আপনার কাছে ক্যাশ কতটাকা আছ ? বিকাশ দোকানদার সরল মনে সব ক্যাশ মিলিয় দেখলো ৩৪ হাজার টাকা আছ।
প্রতারক টাকাটা নিয়ে কথিত মামার হাতে দিলো এবং অটো ড্রাইভার কে বললো ভাই আপনি এখানে বসেন। আমি মামাকে নিয়ে ত্রান নিয়ে আসি এবং মোবাইলে বলছিলো আরে ভাই তারাতারি টাকা পাঠাও দেরি হয়ে যাচ্ছে। প্রতারক কথিত মামাকে নিয়ে চলে যায়, তিনশ গজ দুরে গিয়ে মোবাইলে কথা বলার ছলে কথিত মামার কাছ থেকে টাকা নিয়ে গাড়ি থেকে নামতে বলে এবং মামাকে বলে আপনি এখানে থাকেন আমার স্যারকে নিয় আসি। এই বলে প্রতারক টাকা নিয়ে উধাও হয়।
এদিকে বিকাশ ব্যবসায়ী এজেন্ট নাম্বারে টাকা না আসায় ড্রাইভার কে বলে আপনি কি তাকে চিনেন? সে জানায় আমার গাড়ি ভাড়ায় ঠিক করেছে। দোকানদার প্রতারকের স্থানীয় কথিত মামাকে মোবাইলে কল দিয়ে তার কথা জিজ্ঞাসা করলে সে জানায়, আমাকে রাস্তায় নামিয়ে দিয়ে এক মিনিট হয় সে চলে গেছে। এভাবেই প্রতারকের খপ্পরে পরে বিকাশের এজেন্ট ব্যাবসায়ীরা তাদের সর্বস্ব হারাচ্ছে। গত কয়েক দিন পূর্বে মাহমুদকাঠি এক দোকান থেকে ২৭ হাজার টাকা নিয়ে যায় প্রতারক।
এ বিষয় নেছারাবাদ থানার অফিসার ইনচার্জ আবির মোহাম্মাদ হোসেন বলেন, এ বিষয় বিকাশ এজেন্টের কেউ আমার কাছে কোন অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে দেখা হবে।