বানারীপাড়ার ইলুহার ইউনিয়নের মলুহার ওয়াজেদিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠে জমে উঠেছে বিশাল গরুর হাট । এখানে সামর্থ্য অনুযায়ী ছোট-মাঝারি-বড় সব ধরনের কোরবানির পশু পেতে পারেন ক্রেতারা।কম দামে গরু মিলে এ পশুর হাটে।
কোথায় কম দামে কোরবানির পশু পাব?—এর উত্তর হতে পারে ইলুহারের ইউনিয়নের মলুহার ওয়াজেদিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠে পশুর হাটে। এখানে সামর্থ্য অনুযায়ী ছোট-মাঝারি-বড় সব ধরনের কোরবানির পশু পেতে পারেন ক্রেতারা।
আজ এ হাটে গিয়ে দেখা গেল, হাটে মাঝারি আকারের গরুর সংখ্যাই বেশি। এখানে প্রধানত অস্ট্রেলিয়ান, সিন্ধি, দেশি ও সংকর গরুর সংখ্যাই বেশি। ক্রেতারা বলছেন, অন্য হাটের তুলনায় এখানে দাম কম। বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এই হাটে বিভিন্ন দামের গরু পাওয়া যায়।
ব্যবসায়ী মো. দুলাল গরু কিনতে এসেছেন এ হাটে। তিনি দৈনিক শীর্ষ সংবাদ কে বলেন, ‘হাট ঘুরে মনে হচ্ছে গরুর দাম এখানে কিছুটা কম। সব ধরনের কোরবানির পশু এখানে পাওয়া যাচ্ছে।’
মো. মহাসিন নামের আরেকজন ক্রেতা বলেন, ‘অন্য হাটের মতো এখানে আকাশ ছোঁয়া দাম হাঁকাচ্ছেন না ব্যবসায়ীরা। ফলে দরদাম করেও কিছুটা স্বস্তি পাচ্ছি।কম দামে গরু মিলতে পারে।
অলি আহমেদ নামের আরেকজন ক্রেতা সপরিবারে ওই হাটে গরু কিনতে এসেছেন। তিনি বলেন, দাম একটু কমই মনে হচ্ছে। তবে গত বছরের চেয়ে একটু বেশি।
এখানে দাম কমের কারণ জানতে চাইলে রহমান নামের একজন গরু বিক্রেতা বলেন, ‘আমরা বাড়ির পোষা গরু নিয়ে আসছি। ব্যবসা করার জন্য নয়। এ জন্য দাম কম।’ মো. আলী হোসেন নামের আরেকজন বিক্রেতা বলেন, ‘আমরা ব্যবসায়ী না, পোষা গরু নিয়ে আসছি। দাম বেশি চাচ্ছিনা ভাই।’
বিস্তারিত জানতে চাইলে মোহাম্মদ আমিনুল হক সোহেল (ইলুহার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক )বলেন, এখানে মানুষের চাহিদামাফিক গরু আছে। দামও কম।সুন্দর পরিবেশ বিরাজ করছে।ইলুহার ইউনিয়ন পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোঃ সাকিব বলেন, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে এবং সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী গো হাট সুন্দর ভাবেই পরিচালনা হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয় সুবিধা পাচ্ছে।