পিরোজপুরের নাজিরপুরে ০৭ মাসের আন্তঃসত্বা ফারজানা আক্তার (২১) নামে এক গৃহবধূর আত্মহত্যা না হত্যা এ নিয়ে এলাকায় আলোচনার ঝড় বইছে। জানা গেছে গত মঙ্গলবার রাতে নাজিরপুরের ৩ নং দেউলবাড়ী দোবড়া ইউনিয়নের প্রত্যান্ত বিল এলাকার ১ নং ওয়ার্ড সোনাপুর নামক গ্রামে ফারজানার শশুরবাড়ী, মোশারেফ হোসেন মোল্লার বসত ঘরে এ ঘটনা ঘটেছে।
পারিবারিক কলহের জের ধরে তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা করছেন মৃত গৃহবধুর শশুর এবং তিনি বলেন আমার ছেলে ও পুত্র বধু দুজনে একই বিছানায় ঘুমিয়ে ছিল কিছুক্ষণ পরে আমার ছেলে তার স্ত্রীকে দেখতে না পেয়ে রুম থেকে বের হয়ে দেখে সে ঘরের আড়ার সাথে ওড়না দিয়ে ঝুলে আছে।
এদিকে নিহতের বাবা বলেন, আমার জামাই ও মেয়ের সাথে দীর্ঘ দিন পর্যন্ত খুটি নাটি ঝগড়া-ঝাটি ছিল। এক পর্যায়ে তাকে বলেছে তোকে আমি ডিভোর্স দিয়ে দিব। তাই আমার ধারণা আমার মেয়েকে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।
মেয়ের বড় ভগ্নিপতি বলেন লাশের বুকের উপরে আঘাঁত রয়েছে এবং তাহার পায়ে কাঁদা রয়েছে, তারা যদি একই বিছানায় ঘুমিয়ে থাকে তা হলে কিভাবে তাহার পায়ে কাঁদা থাকে এবং বুকে আঘাঁত থাকে। বিষয়টি কোন ভাবেই আত্মহত্যা নয়। এটি পরিকল্পনা করে তাকে হত্যা করে ঝুঁলিয়ে রাখা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে নিহতের স্বামী আত্মগোপনে রয়েছেন। সে যদি হত্যা নাই করে থাকে, তা হলে সে কেন পালিয়ে থাকবে।
এ ব্যপারে ঐ ওয়ার্ডের সাবেক ও বর্তমান ইউপি সদস্য সাইফুল ও নিখিল এর সঙ্গে মুঠোফোনে কথা বললে তারা বিষয়টির উপরে সন্দেহ পোষণ করেন।
নাজিরপুর থানার কর্তব্যরত ডিউটি অফিসার এস আই দেলোয়ার হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে এ তিনি জানান এ বিষয়ে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার বাদী মোশারেফ হোসেন মোল্লা। মৃতের মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য পিরোজপুর মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।