পিরোজপুরে মাদ্রা ইদেলকাঠি খালের সংযোজ ব্রীজের সাথে কাঠের পাইলিং দিয়ে চাঁদা তোলার অভিযোগ উঠেছে জাকির,চাঁন মিয়া ও মিজানের বিরুদ্ধে। বিষয়টি নেছারাবাদ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেন জলাবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের ৮নং ওয়ার্ড মেম্বর নকিতুল্লাহ সরদার।
সোমবার নকিতুল্লাহ মেম্বর এলাকার লোকজন সহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগে জানান, মাদ্রা ইদেলকাঠি খালের সংযোজ ব্রীজের সাাথে কাঠের পাইলিং দিয়ে ব্রীজের নিচে থেকে নৌকা,ট্রলার ,বলগেট চলাচলে বাধা সৃষ্টি করে এবং তাদের কাছ থেকে মোটা অংকের চাঁদা আদায় করে মিজান,পিতা- মোজাহার,জাকির পিতা- কাদের ,চাঁন মিয়া ও মিজান পিতা -অজ্ঞাত। খালের ভিতর গরজা দিয়ে ভূমি দস্যুরা খাল দখল করে আসছে।যে কারনে নেছারাবাদ থানা এবং ঝালকাঠি দুই থানার সাথে নৌপথে চলাচলে জনগনের ভোগান্তি সৃষ্টি হচ্ছে।এ নিয়ে দুই এলাকার জনগনের সাথে উদ্ভুদ্ব পরিস্তিরি সৃষ্টি হতে পারে এমন কি খুন জখমেরও সম্ভবনা রয়েছে।
এ বিষয় বলগেটের মালিক সিরাজ জানান ,আমার বলগেটের সাথে ব্রীজের অসাবধানতা বসত একাটা ধাক্কা লাগে যার ফলে সামান্ন ক্ষতি হয়েছিলো যা আমি নিজে মেরামত করে দিয়েছি । কিন্তু তার পরেও মিজান,জাকির,চাঁন মিয়ারা আমার কাছ থেকে তিন হাজার পাঁচশ টাকা নিয়েছে।ঝালকাঠি থেকে আসা একটি টলার থেকেও চাঁদা নিয়েছে।
এ বিষয় অভিযুক্ত মিজান বলেন,আমার নামে যে চাঁদাবাজির কথা বলা হয়েছে তা সম্পূর্ন মিথ্যা।এলাকার লোকজনের কাছে প্রয়োজনে জানতে পারেন। আমি এলাকার বাসির জন্য ব্রীজটি রক্ষার স্বার্থে বলগেট ভিতরে যেতে দেই না।যে কারনে ব্রীজটির একপাশে গরজা দেয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে জলাবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জানান,ব্রীজ আটকিয়ে চাঁদা তোলার অভিযোগটি মিথ্যা কথা।একবার টলারেে ধাক্কা দিয়ে ব্রীজটি ভেঙে দিয়েছে এবং ঐখানে পাহারা থাকেনা সেজন্য গরজা দিয়ে আটকানো হয়েছে রাতে যাহাতে টলার খালের ভিতর প্রবেশ করতে না পারে।এ বিষয় ইউএনও স্যার এবং অসি সাহেবের সাথে কথা হয়েছে সরজমিনে পুলিশ গিয়ে দেখে এসেছে এবং আমি এলাকায় ছিলাম না শুক্রবার ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখে আসবো।
কিন্তু এলাকার নার্সারী ব্যবসায়ীরা জানান, ব্রীজটি আটকিয়ে দেয়ার ফলে আমরা চরম ভাবে ক্ষতি গ্রস্ত হচ্ছি।একটা সকলের জানা স্বরূপকাঠি উপজেলার আমারকাঠি নার্সারী ব্যবসার জন্য বিক্ষাত, কিন্তু নার্সরীর চারা ক্রয় বিয়য়ের জন্য ব্যবসায়ীরা যদি টলার নিয়ে নার্সরীর কাছে আসতে না পারো তাহলে আমরা কোটি কোটি টাকার ক্ষতির সম্মুখিন হবো ।তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অনুরোধ, লোকজন চলাচলে যেমন ব্রীজটি যেমন দরকার, তেমনি নার্সারি ব্যবসার রক্ষার্তে খালটি সংস্কার এবং খালের ভিতর টলার আসা যাওয়ারও দরকার।