স্বরূপকাঠী উপজেলার জগন্নাথকাঠী ৮নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার মোঃ কাবারেক মিয়ার হাত ভেঙ্গে দিলো ছাত্র দলের নাম ধারি ক্যাডার রাকিব।এ ঘটনায় তিনজন কে আটক করেছে নেছারাবাদ থানা পুলিশ। গত বুধবার বিকালে কাবারেক মিয়ার বাজারে যাবার জন্য বের হলে দোহাতা পুলের সামনে সাহাজ সরদার এর বাড়িব সামসে ওত পেতে থাকা মাদক সেবি রাকিব ও তার সহযোগিরা অতর্কিত ভাবে হামলা চালায় এবং রাকিব তাকে মেহগনি গাছের একটি লাঠি দিয়ে আঘাত করে হাঁত ভেঙ্গে দেয়।
এ বিষয় সাবেক মেম্বরের মোঃ কাবারেক মিয়া জানান,রাকিবের বিরুদ্ধে আমি পিরোজপুর জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সিআর মামলা করি যার নং ৩৫১/২০ইং উক্ত মামলা দায়ের কারার পর থেকেই আমার উপর ক্ষিপ্ত হইয়া মামলা তুলে নিতে বিভিন্ন হুমকি দিয়ে আসছিলো। ঘটনার দিন বিকালে আমি দোকানের মালামাল ক্রয় করার জন্য স্বরূপকাঠী বাজারে যাবার সময় দোহাতা পুলের সামনে সাহাজ সরদার এর বাড়িব সামনে ওত পেতে থাকা মাদক সেবি রাকিব ও তার সহযোগিরা অতর্কিত ভাবে হামলা চালায় । রাকিব আমাকে মেহগনি গাছের একটি লাঠি দিয়ে আঘাত করলে আমার হাঁত ভেঙ্গে য়ায় । আমি মাটিতে পড়ে যাই এবং উঠে দাঁড়াতে চাইলে পুনরায় লাঠি দিয়ে আঘাত করে এবং বাকিরা এলো পাথারি মারতে থাকে তখন আমি চিৎতার করিলে হালিম,জাহিদ ,আবু হায়াত,হানিফ ,দুলার সহ আরো লোকজন ছুটে আসে, ততক্ষনে গাজাখোর রাকিব আমার বুক পকেটে থাকা ৩৫ হাজার ৫০০টাকা ছিলো তা নিয়ে পালিয়ে যায়। আমাকে হাত ভাঙ্গা অবস্থায় উদ্ধার করে দ্রুত নেছারাবাদ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত ডাক্তার আমার হাতের অবস্থা খারাব দেখে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন।
এ বিষয় এলাকার বর্তমান মেম্বর জানান, রাকিব একটা নষ্ট প্রকৃতির ছেলে কয়েকবার তাকে ধরে স্থানীয় ভাবে কঠিন বিচার সালিশ করা হয়েছে কিন্তু কোন পরিবর্তন হয় নাই।একবার থানা থেকে পুলিশ এসে তাকে ধরেছিলো কিন্তু সে পুলিশ কে কামড় দিয়ে পালিয়ে যায়। কোন ভাবেই ওকে সঠিক পথে আনা সম্ভব হয়নি।এ বিষয় এলাকার চৌকিদার জানান,রাকিব ছেলে মোটেও ভালোনা নেশা করে মারপিট করে ওর নামে থানায় মামলা আছে।
নেছারাবাদ থানা এস আই জনাব খালেকুজ্জামান জানান,বিবাধী রাকিব সহ বাকি তিন জনের বিরুদ্ধে ১৪৩/৩৪১/৩২৩/৩২৪/৫০৬ ধাররায় মামলা রুজ করা হয়েছে ১নং বিবাধী ব্যাতিত বাকিদের গ্রেফতার করা হয়েছে।আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বিবাধী রাকিব কেও গ্রেফতার হবে পালিয়ে থাকতে পারবেনা।