ঢাকার ধোলাইপাড়ে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপনে হেফাজতে ইসলামসহ কয়েকটি ইসলামী দলের বিরোধিতার মধ্যে শুক্রবার রাতে কুষ্টিয়ায় জাতির পিতার নির্মাণাধীন একটি ভাস্কর্য ভাঙচুর করা হয়।
কুষ্টিয়া পৌরসভার পাঁচ রাস্তার মোড়ে নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের ডান হাত, পুরো মুখ ও বাম হাতের অংশ বিশেষ ভেঙে ফেলা হয়েছে।
এর প্রতিবাদে পিরোজপুরের নাজিরপুরে বৃহস্পতিবার বিক্ষোভ করেন উপজেলা যুবলীগ ও ছাত্রলীগ৷ বৃহস্পতিবার দুপুরে আওয়ামীলীগের দলীয় কার্যালয়ের সামনে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি এম খোকন কাজীর সভাপতিত্বে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়৷ দুপুরে বিক্ষোভ মিছিলটি নাজিরপুরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিন শেষে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল প্রাঙ্গণে সমাবেশে মিলিত হয়৷ উক্ত প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ন আহবায়ক নাঈম হাওলাদার, জেলা পরিষদ সদস্য তুহিন হালদার তিমির, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান রঞ্জু, উপজেলা চেয়ারম্যান অমূল্য রতন হালদার, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক চঞ্চল কান্তি বিশ্বাস, উপজেলা যুবলীগের সিনিয়র সহ সভাপতি নাজমুল হুদা স্বপন, নাজিরপুর উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান তুহিন, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক অনিক-উজ্জামান অনিক, জেলা যুবলীগের সভাপতি আক্তারুজ্জামান ফুলু , সমাজসেবক এসএম নজরুল ইসলাম।
বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাংচুর চরম রাষ্ট্রদ্রোহিতা উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, একাত্তরের পরাজিত শক্তির ইন্দনেই ভাস্কর্য বিরোধী বক্তব্য দিয়েছেন মৌলবাদী গোষ্ঠীর নেতারা। তারাই ভাস্কর্য নির্মাণে বিরোধিতা করেছে। তাদের নির্দেশেই কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। তাদের দ্রুত গ্রেফতার করে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।“পাকিস্তানের প্রেতাত্মারা ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে। এদের বিরুদ্ধে কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। এই গুটিকয়েক উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীকে প্রতিহত করতে হবে। যারা জাতির পিতার ভাস্কর্য ভেঙ্গেছে তাদের কোনোভাবেই ছাড় নয়।”