নেছারাবাদে তরমুজ পিস হিসাবে কনে কেজি হিসাবে বিক্রি করছে একদল অসাধু ব্যবসায়িরা। ব্যবসায়িরা তরমুজের আকার ও সাইজ অনুযায়ি ৮০,৬০,ও ৫০ টাকা দরে বিক্রি করছেন। লকডাউনের কয়েকদিন আগেও উপজেলার বাজারে যে বড় সাইজের তরমুজটি বিক্রি হত ২০০-২৫০ টাকায় কেজি হিসাবে এখন সেই তরমুজ তারা বিক্রি করছেন ৪০০-৪৫০ টাকায়। একটি মাজারি সাইজের তরমুজ বাজারে বিক্রি হত ৮০-৯০ টাকায়। কেজি হিসাবে এখন সেই তরমুজটি বিক্রি হচ্ছে ২০০-২৫০ টাকায়। এছাড়া ছোট সাইজের যে তরমুজ পিস হিসাবে বিক্রি হত ১৫-২০ টাকায়;সেই তরমুজও ৫০ টাকা কেজি হিসাবে বিক্রি হচ্ছে ৯৫-১২০ টাকায়। তবে, ব্যবসায়িরা বলছেন তারা পিস হিসাবে তরমুজ কিনলেও মালের দাম বেশি হওয়ায় তাদের কেজি হিসাবে বিক্রি করতে হচ্ছে। এদিকে বাজারে আকাশচুম্বি তরমুজের দাম হওয়ায় হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন নিম্ম আয়ের মানুষেরা।
জগন্নাথকাঠি বাজারের ভিতরে বাকা তেড়া ছোট সাইজের তরমুজ নিয়ে বসেছেন হাসান নামে এক বিক্রেতা। তিনি সেই ছোট সাইজের তরমুজগুলো ৫০টাকা কেজি বিক্রি করছেন। অথচ, কয়েকদিন আগেও বাজারে ওই সাইজের একটি তরমুজ বিক্রি হত ১৫-২০ টাকায়। যা একমাত্র নি¤œ আয়ের মানুষ ছাড়া কেহই ওই তরমুজ কিনতনা। এখন সেই তরমুজই মধ্যবিত্ত পরিবারের লোকেরা কেজি হিসাবে বাধ্য হয়ে ক্রয় করছে,
ক্রেতারা অভিযোগসুরে জানান, সারাদিন রোজা রাখার পর প্রাণটা একটু ঠান্ডা করতে বাধ্য হয়েই কেজি হিসাবে তরমুজ কিনতে হচ্ছে। তাছাড়া গরমের এই অবস্থায় সারাদিন রোজা রাখার পর তরমুজের বিকল্প কিছুই পাচ্ছিানা বলেই তরমুজ কিনতে হচ্ছে। আর লকডাউনের এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে অসাধু ব্যবসায়িরা কেজি হিসাবে তরমুজ বিক্রি করছেন।