নেছারাবাদ থেকে বদলীজনীত কারণে অশ্রুশিক্ত বিদায় নিয়ে চলে গেলেন ব্যানবেইস কর্মকর্তা, সহকারী প্রোগ্রামার জনাব মোঃ বিল্লাল হোসেন। নেছারাবাদ উপজেলায় দীর্ঘ তিন বছর দায়িত্ব পালন করেন বদলী হলেন খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলায়। একজন সৎ, মেধাবী, নিষ্ঠাবান ও প্রতিভাবান অফিসারকে হারালো নেছারাবাদ বাসী। নিজের মেধা ও মনন দিয়ে কর্মস্থলের সকলকে আপন করে নিয়েছিলেন তিনি।
ব্যানবেইস কর্মকর্তা ছিলেন একজন উদার মনের মানুষ।তার সম্পর্কে বলতে গিয়ে,তার সহকর্মীরা অশ্রুসজল চোখে জানান “তিনটি বছর তার মত একজন ভালো মানুষের সাথে কাজ করতে পেরে আমরা গর্বিত”। উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার মোঃ বিল্লাল হোসেন এর সম্পর্কে বলেন, “এই তিন বছরের অভিজ্ঞতায় এটাও নির্দ্বিধায় বলতে পারি তিনি একজন ভাল মানুষ”।তিনি সকলের সাথে আন্তরিক ব্যবহার করতেন। সহকর্মীদের যেকোনো কাজ তিনি আন্তরিকতার সাথে বুঝিয়ে দিতেন।কখনো তিনি নিজের দায়িত্ব কে অবহেলা করতেন না।অন্যায়ের সাথে কখনো আপোশ করেননি। তিনি একজন সত্যের সৈনিক।তার মত নীতিবান আদর্শবান নিষ্ঠাবান ও চরিত্রবান অফিসার বর্তমান সময়ে খুব একটা খুঁজে পাওয়া বিরল।
তার সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে একজন শিক্ষক বলেন “নেছারাবাদের একটা প্রজন্ম অবশ্যই ব্যানবেইস কর্মকর্তা কে ভবিষ্যতে উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরবে”। অন্য একজন শিক্ষক মন্তব্য করেন “নেছারাবাদের শিক্ষক সমাজ স্যারকে আন্তরিকতার সাথে স্মরন করবে । স্যার এর প্রতি দোয়া রইল ।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা বলেন,”একজন এক্টিভ কর্মকর্তাকে নেছারাবাদ হারালো”। ফজিলা রহমান মহিলা কলেজের প্রভাষক আবুল কালাম আজাদ বলেন,”স্বরূপকাঠিবাসী আরো একজন সত ,যোগ্য এবং মেধাবী প্রতিভাবান অফিসারকে হারালো”। আকলম মুসলিম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বলেন, মনে রাখবো মনের মনিকোঠায়, ভালো থাকুন সব সময়, শুভকামনা চিরন্তন”।ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মি সাইফুল ইসলাম বলেন, স্যার যে ট্রেনিং দিয়েছেন তা আমাদের জীবনে পাথেয় হয়ে থাকবে। এই তিন বছরে তিনি নেছারাবাদ বাসিকে অনেক আপন করে নিয়েছেন।দোয়াকরি স্যার যে খানে থাকবেন ভালো থাকবেন।এক কথায় বলতে গেলে নেছারাবাদ বাসী তার প্রতি শুভকামনা জানিয়ে বলেন তিনি যেখানেই যাবেন সেখানেই নিজের দায়িত্ব পালন করে সততা, নিষ্ঠা ও দক্ষতার মাধ্যমে সকলকে মুগ্ধ করবে।