রাজনীতিতে ও সমাজসেবায় অবদানের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সম্মাননা ক্রেষ্ঠ পেয়েছিলেন প্রবীন রাজনীতিবীদ, নেছারাবাদ উপজেলার বর্সিয়ান নেতা সেহাংগলের কৃতি সন্তান, বিশিষ্ঠ সমাজ সেবক মুক্তি যুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, মরহুম আলহাজ্ব মাষ্টার আফসার উদ্দিন আহম্মদ।তিনি সেহাংগলের শেখ পরিবারে ১৯৪২ সালের ৮ই জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন।
১৯৫৪ সালে যুক্ত ফ্রন্টের নির্বাচনের সময় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান নির্বাচন কালিন সফরে পিরোজপুর এসেছিলেন তখন লঞ্চে করে বরিশাল যাবার সময় জুলুহারে কিছু সময়ের জন্য অবস্থান করে।ঐ সময় মাষ্টার আফসার উদ্দিন আহম্মদ অনেক লোকজন নিয়ে অবস্থান করেন।এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান লঞ্চ থামিয়ে সকলের সাথে সুভেচ্ছা বিনিময় করেছিলেন।
তিনি ছাত্র জীবন থেকে শুরু করে ছিলেন রাজনীতি সেহাংগলের আর এক কৃতি সন্তান পিরোজপুর জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক, ১৯৭০সালের সাবেক এম.এল.এ এবং পরে পিরোজপুর জেলার গর্ভনর ছিলেন বিশিষ্ঠ রাজনীতিবীদ এ্যাডভোকেট এনায়েত হোসেন খান।তার হাত ধরেই রাজনীতির শুভ সুচনা করেছিলেন। অবশ্য এরা পারিবারিক ভাবে একে অপরের আত্মীয় ছিলেন।এ্যাডভোকেট এনায়েত হোসেন খান ঐ সময় ঢাকা থাকতেন। ১৯৬৯ সালে গণঅভ্যুত্থান সময় বঙ্গ বন্ধুর নির্দেশে এ্যাডভোকেট এনায়েত হোসেন খান ঢাকা থেকে পিরোজপুরে চলে আসেন । এ সময় এনায়েত হোসেন খান ৬৯ সালে গণঅভ্যুত্থানে সময় জনগনের মাঝে জন সচেতনা মূলক ব্যাপক প্রচারনা করেছিলেন ।তখন এনায়েত হোসেন খান পিরোজপুর ,ভান্ডারিয়া,কাউখালি,নাজিরপুর,স্বরূপকাঠী সহ বিভিন্ন স্থানে বক্তব্য রেখেছেন । মাষ্টার আফসার উদ্দিন আহম্মদ ও পিরোজপুরের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা শহীদ ওমর ফারুক সহ (১৯৭১সালে শহীদ হয়েছিলেন) অনেকেই তখন এ্যাডভোকেট এনায়েত হোসেন খানের সাথে ছিলেন।
১৯৭০ সালের এর নির্বাচনের মসয় এনায়েত হোসেন খান ভান্ডারিয়া,কাউখালি,নাজিরপুর, স্বরূপকাঠী সহ বিভিন্ন স্থানে গন-সংযোগে বক্তব্য রেখেছেন তখন আফসার উদ্দিন আহম্মদ তার সাথে ছিলেন।
১৯৯৬ সালে নির্বাচনের সময় ফাইজুল হক স্বরূপকাঠী বানারীপাড়া থেকে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলো তখন মাষ্টার আফসার উদ্দিনের বাড়িতে বসে এই অঞ্চলের নির্বাচনের কাজ পরিচালনা করেছেন।এবং কাউখালি ভান্ডরিয় থেকে এ্যাডভোকেট এনায়েত হোসেন খান নির্বাচন করেছিলেন।২০০১সালে জোট সরকার যখন ক্ষমতায় আসে তখন থেকে এই পরিবারটির উপর শুরু হয়ে যায় হামলা মামলা। এমন কি চাঁদ রাতের দিন তার দুই ছেলের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে ধরে নিয়ে যায়।
মাষ্টার আফসার উদ্দিন আহম্মদ ৮নং সমুদয়কাঠী ইউনিয়ন প্রতিষ্ঠা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও পিরোজপুর জেলা আওয়ামীলীগের সম্মানিত সদস্য ছিলেন। এই সমাজ সেবক জীবনে অনেক মানুয়ের কল্যানের জন্য কাজ করেছেন। সামাজিক কাজকর্মে নিজে থেকে স্ব-উদ্যোগে যেমন করেছেন অপরকেও করতে উৎসাহ দিতেন। সেহাংগল দরগা বাড়ি মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা শিক্ষক ছিলেন। সেহাংগল বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ও সেহাংগল স্কুল এ্যান্ড কলেজের সভাপতি ছিলেন এবং সেহাংগল দরগা বাড়ি হাফিজিয়া মাদ্রসার ও মধ্য সেহাংগল বায়তুল আমান মসজিদের সভাপতি ছিলেন। এছাড়া সেহাংগলে ২৪টির বেশি মসজিদে সম্পুর্ন নিজ উদ্যোগে বিভিন্ন ধর্মীও বই বিতরন করেছিলেন। কারো চিকিৎসা করার প্রয়োজন সাহায্য করেছেন । গরীব বাবার কন্যার বিয়েতে সহোযোগীতা করেছেন। টাকার জন্য স্কুলে ভর্তি হতে কিংবা বই কিনতে পারছেন না দরিদ্র শিক্ষার্থী,এমন অসংখ্য দরিদ্র মানুষের পাশে দাড়িয়েছেন। তার সারাটি জীবন রাজনীতির পাশা পাশি সমাজ সেবায় এবং মানবতার সেবায় নিবেদিত ছিলেন এই মরহুম মাষ্টার আলহাজ্ব আফসার উদ্দিন আহম্মদ। তিনি ১২ই আগষ্ট রোজ বুধবার ১২টা ৩০মিনিটের মসয় বরিশাল মেডিকেলে বসে ইন্তেকাল করের।তার মৃত্যুতে ৮নং সমুদয়কাঠী ইউনিয়নে ৯টি ওয়ার্ডে শোকসভা অনুষ্ঠিত হয়।