পিরোজপুরের স্বরূপকাঠিতে ধলহার স্বনির্ভর সঞ্চয় ও ঋণদান সমবায় সমিতির কর্মকর্তারা সদস্যদের সঞ্চয়ের ৪৪ লাখ টাকা আত্মসাত করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই এনজিওর সভাপতি সমিরন মিস্ত্রী, সম্পাদক পার্থ মিস্ত্রী,কোষাধ্যক্ষ মৃত্যুঞ্জয় মিস্ত্রী, পরিচালক লিটন মিস্ত্রী ও কর্মচারী অমল মিস্ত্রী (সঙ্গীতকাঠি) সদস্যদের সঞ্চয়ের টাকা আত্মসাত করেন। সদস্যরা সঞ্চয়ের টাকা ফিরে পাওয়ার জন্য গেলে ওই কর্মকর্তারা একে অন্যের উপর দোষ চাপিয়ে নিজেরা দায় এড়ানোর চেষ্টা করছে। একপর্যায় সদস্যদের চাপে পড়ে কর্মচারী অমল চন্দ্র মিস্ত্রী উল্লেখিত চার কর্মকর্তার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দেয় । পরে ওসি ওই এনজিও কর্মকর্তাদের থানায় খবর দিলে লিটন মিস্ত্রী বাদে বাকীরা হাজির হয়ে তাদের কাছে থাকা কিছু টাকা ফেরত দেয়ার আশ্বাস দেন। এ সময় সমিরন মিস্ত্রীসহ তিন কর্মকর্তা পরিচালক লিটন মিস্ত্রীর (সাবেক ইউপি সদস্য) বিরুদ্ধে থানায় আরো একটি অভিযোগ দিয়ে বাকী টাকা আদায়ের জন্য আবেদন জানান। এ বিষয় সভাপতি সমিরন মিস্ত্রী বলেন, থানায় ডেকে আনার পরে তিনিসহ পার্থ মিস্ত্রী, মৃত্যুঞ্জয় মিস্ত্রী মিলে তাদের কাছে থাকা পাঁচ লাখ টাকা তারা ওসি তদন্তের কাছে জমা দিয়েছেন। তিনি বলেন সদস্যদের নেয়া ঋনের টাকা বাদ দিলে তারা সর্বসাকুল্যে ১০/১২ লাখ টাকা পাবে।
ওই এনজিওর আদায়কারী অমল মিস্ত্রী বলেন, ৩৫২ জন সদস্যের পাঁচ বছর মেয়াদী জমা দেয়া সঞ্চয়ের সাথে লভ্যাংশসহ প্রায় ৪২ লাখ টাকা কর্মকর্তাদের কাছে পাওনা রয়েছে। এদেও লভ্যাংশসহ টাকা ফেরত দেয়ার আগেই আরো ২১৮ জন সদস্য নতুন করে ৮ লাখ টাকা ডিপিএস সঞ্চয় জমা দেয়। তবে কিছু সদস্যের লোন নেয়া আছে। তাদের লোনের টাকা সমন্বয় করা হলে কর্মকর্তাদের কাছে গ্রাহকদের ৪২/৪৪ লাখ টাকা পাওনা থাকে। এ বিষয় এনজিওর সম্পাদক পার্থ মিস্ত্রী বলেন, সঙ্গীতকাঠি এলাকার সঞ্চয় ও কিস্তির টাকা আদায়ের দায়িত্বে ছিলেন অভিযোগকারী অমল মিস্ত্রী। আদায়কারী অমল মিস্ত্রীও কালেকশনের সব টাকা জমা দেয়নি। তিনি বলেন এনজিওর অন্যতম পরিচালক লিটন মিস্ত্রীর কাছে জমা থাকা ৮ লক্ষাধিক টাকা নিয়ে সে গাঢাকা দিয়েছে। সভাপতি,কোষাধ্যক্ষসহ তিনি কোনো টাকা আত্মসাত করেননি। সে কারনে তারা তিনজনে লিটন মিস্ত্রীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য থানায় পাল্টা অভিযোগ দিয়েছেন।এ বিষয় সমিতির সদস্য কালাম জানায় ১০ পারছেন্ট হারে টাকা আদায়ের ব্যবস্থা নিয়েছি কর্মকর্তারা টাকা না দিয়ে পারবেনা।এনজিও সদস্যদের সঞ্চয়ের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পেয়ে কি ব্যবস্থা নিয়েছেন জানতে চাইলে, নেছারাবাদ (স্বরূপকাঠি) থানার ওসি তদন্ত শেখ আউয়াল কবির বলেন,তদন্তে যেটুকু জানাগেছে তাতে সদস্যরা সমিতির কাছে বেশ কিছু টাকা পাবে। সমিতির কয়েক জনকে পেয়েছি,মুলহোতা লিটনকে পাচ্ছি না। লিটনকে পেলে টাকা আদায় করা সম্ভব হবে এবং সদস্যদের টাকা দেয়া যাবে।