বর্তমান করোনা মহামারীর কারণে দেশের সকল স্কুল-কলেজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দীর্ঘদিন যাবৎ বন্ধ থাকলেও থেমে নেই শিক্ষকদের প্রাইভেট ও কোচিং বাণিজ্য।
উপজেলার বিভিন্ন স্থানে কিছু শিক্ষক এবং বেকার শিক্ষিত যুবকরা ঘর ভাড়া করে স্বাস্থ্য বিধি না মেনে প্রাথমিক থেকে শুরু করে স্নাতকোত্তর পর্যায় পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের ভাল ফলাফলের প্রলোভন দেখিয়ে প্রাইভেট পড়াতে বাধ্য করছেন বলে অভিযোগ এসেছে নাজিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) বরাবর।
তিনি তাঁর ফেসবুক আইডি দিয়ে নাজিরপুর উপজেলার সম্মানিত শিক্ষকবৃন্দের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি,এই মর্মে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং নিজ বাড়িতে কোচিং সেন্টার খুলে স্বাস্থ্য বিধি না মেনে সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষা করে অনেক শিক্ষার্থীকে একত্রে বসিয়ে কোচিং করাচ্ছেন বলে নিয়মিত অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। করোনা নিয়ন্ত্রনে সরকার দীর্ঘ এক বছরেরও অধিক সময় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখেছে। সুতরাং উদ্ভূত পরিস্থিতিতে কোচিং বাণিজ্য গ্রহনযোগ্য নয় এহেন কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার অনুরোধ করা যাচ্ছে, অন্যথায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে, বলে ফেসবুকে একটি স্টাট্যাস দেন।
তার পরেও কতিপয় কোচিং ব্যবসায়ী প্রাইভেট ও কোচিং বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছিলেন। ১৩ মার্চ মঙ্গলবার নাজিরপুর উপজেলার সহকা্রী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জনাব সাখাওয়াত জামিল সৈকত এর ভ্রাম্যমাণ আদালত করোনাকালে প্রাইভেট ও কোচিং বাণিজ্য করার অপরাধে নাজিরপুর সদর বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ইংরেজি বিষয়ের শিক্ষক দেবব্রত বিশ্বাস এর বাসার একটি কক্ষে দশম শ্রেণির একটি ব্যাচে ২০-২৫ জন শিক্ষার্থী একত্রে প্রাইভেট পড়ানোর সময় ও একই বিদ্যালয়ের অতিথি শিক্ষক নিত্যানন্দ মন্ডল নাজিরপুর এর ভাড়া করা বাসায় প্রাইভেট পড়ানোর সময় দণ্ডবিধি ১৮৬০ এর ২৬৯ ধারা মোতাবেক পৃথক পৃথক ভাবে ১০০০ ও ৩০০০ টাকা জরিমানা করেন।
এ ব্যাপারে নাজিরপুর উপজেলা সহকা্রী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জনাব সাখাওয়াত জামিল সৈকত বলেন, “জনস্বার্থে সরকার নির্দেশিত আইন অমান্য করে করোনার সময় কোচিং বাণিজ্য পরিচালিনা করা একটি ফৌজদারি অপরাধ। করোনাকালীন সময়ে কোচিং বাণিজ্য সংক্রান্ত অভিযোগ পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।