শিক্ষার আলো জ্বালাতে এসে নিজেরাই অন্ধকারে নিমজ্জিত। দেশের গবি’ত শিক্ষক সমাজ আজ অধিকার বঞ্চিত হয়ে জীবীকার তাগিদে দিনমজুর রুপে আবিভূত।
2015 সাল,দেশের স্বনামধন্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১ম শ্রেনী নিয়ে সদ্য সমাপ্ত গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট ২৫,২৬ বছর বয়সী একঝাঁক ৫২০০ তরুন তরুণী যখন চাকরির জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করবে ঠিক তখন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সেকায়েপ নামের প্রোজেক্ট অফার করল যে আপনি কি মডেল শিক্ষক হতে চান? ভবিষ্যতে চাকরির এমপিও ও স্থায়িত্ব উল্লেখপূর্বক এ ম্যানুয়াল দেখে,বুঝে শুনে এসব শিক্ষকগন পেশাকে ভালোবেসে চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রহণ করে চলে যায় অজপাড়াগাঁয়ের দুগ’ম প্রান্তিক স্কুল গুলো তে। একটা সেকেন্ড ও কখনো মনে হয় নি এ পেশায় এসে যে আমাদের এমন করুন পরিনতির জন্য অপেক্ষা করতে হবে।
৩০ মাস বিনা বেতনে ক্লাস করছি, এই করোনাকালীন সময়ে মানবতার দিনপাত করছি।হাজারো সচিব, কমকর্তার আশ্বাস এমনকি ২০১৭ সালের ১৪ই ডিসেম্বর শেষ বাতা’য় বলা হল জিও অডা’রের কথা।২০১৫ থেকে ২০১৭ সালের শেষ হওয়ার পর ২০১৮,২০১৯,২০২০ মোট ৬ টি বছর অতিবাহিত হয়ে যাচ্ছে তবু্ও কি এসব অভিজ্ঞতা সম্পন্ন দক্ষ জনশক্তি হয়েও এ শিক্ষকগন অবহেলিত থাকবে?করোনা পরবর্তী শিক্ষার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সেকায়েপ প্রজেক্টের অধিনে অতিরিক্ত শ্রেনী শিক্ষক, এসিটি শিক্ষকদের সমস্যা সমাধান করতে সরকারের প্রতি আকুল আবেদন করছি অতিরিক্ত শ্রেনী শিক্ষক (এসিটি)
সেকায়েপ প্রজেক্ট,জনাব আকতার হোসেন (এসিটি, ইংরেজি )পিরোজপুর, নাজিরপুর।