আমি অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে দেখি বৈশাখের শিশির।
যেখানে উত্তপ্ত আগুনে পোড়ার কথা পৃথিবী’র শরীর
ভেজার কথা ঘামে
সেখানে পৃথিবী আজ ভেজে শিশির জলে।
তবে কি হারিয়ে গেল চিরায়ত নিয়মের শৃঙ্খল
তবে কি হারিয়ে গেল সুখ।
পৃথিবীর আজ ভীষণ অসুখ
রাত দিন এক করে সেবা দিচ্ছেন কসাই ডাক্তার।
ঘুষখোর পুলিশগুলোর দম ফেলার ফুরসত নেই,
বিলিয়ে দিচ্ছে মানব সেবায়।
তবে অসোভ্য বাঙালিকে মৃত্যুর ভয়ও ঘরে ঢুকাতে পারেনি।
পুলিশ ঢুকাবে কি করে?
কসাই ডাক্তার বা ঘুষখোর পুলিশ ঠিকই মানুষ হয়েছে।
শুধু মানুষ হইনি আমি,আমরা।
আমরা এই দুর্যোগেও গিলে খাই বস্তায় বস্তায় চাল,
ঘুমাই হাজার হাজার লিটার তেলের উপর।
প্রতি দিন পৃথিবীজুড়ে চলে মৃত্যুর মিছিল
লক ডাউন,শাটডাউন কোন কিছুই থামাতে পারছেনা সে মিছিল,
এই মিছিলে একাত্বতা ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ
মানুষগুলো অথবা অমানুষগুলো নিজেকেই নিজে লাশ বানাতে চায়।
বাঙালি সব কিছুতেই মজা খোঁজে, ভালোবাসে ট্রল করতে।
তাই এ মৃত্যুর মিছিল থামবে না সহসাই।
করোনার ভয়াল থাবা অমানুষগুলোকে গ্রাস করলেই থামতে পারে এ মিছিল।
আমিও চাই আর কিছুটা দিন চলুক
আর একটু শক্তিশালী হোক করোনা
তারপর দ্বিগুণ শক্তিশালী হয়ে ঢুকে পড়ুক এসির ভেতর
দেশখেকো অমানুষগুলোকে নিয়ে চলে যাক।
দূরে চলে যাক।
করোনার মতো ওরাও মানব জীবনের শত্রু।
তারপর করোনার বিদায়ে শুদ্ধ হোক পৃথিবী।
শুদ্ধ হোক পৃথিবীর মানুষ গুলো।